দলিল নিবন্ধনের জন্য হলফনামা

স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় অথবা বিক্রয়ের জন্য দাতা/ গ্রহীতা কর্তৃক নিযুক্ত অ্যাটর্ণি বা প্রতিনিধির মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন বা দলিল রেজিস্ট্রী কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য  

রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সনের ১৪২ নং আদেশ, ১৯০৮ সনের নিবন্ধন আইনের section 52 A(g) এবং ১৮৮২ সনের নিবন্ধন আইনের 53 E অনুসারে প্রদত্ত হলফনামা খানা ১০০ (একশত) টাকা মূল্যের ২খানা স্ট্যাম্প সংবলিত দুই পাতায় মোট ২০০ (দুইশত) টাকার স্ট্যাম্পে একটি নিবন্ধনকৃত দলিলে মোট ১ হইতে ২২ টি ক্রমিক নং/কলাম এর মধ্যে ২১ নং ও ২২ নং কলামে হলফনামাটি লেখা হয়ে থাকে-  নিম্নরুপ 

দলিল নিবন্ধনের জন্য হলফনামা

দলিল নিবন্ধনের জন্য হলফনামা

 

হলফনামা

(২১)  [রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সনের ১৪২ নং আদেশ, ১৯০৮ সনের নিবন্ধন আইনের section 52 A(g) এবং ১৮৮২ সনের নিবন্ধন আইনের 53 E অনুসারে প্রদত্ত হলফনামা] 

বরাবর, 

এখানে নিবন্ধন / দলিল রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের নাম- (যেমন, তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, তেজগাঁও, ঢাকা) 

হলফকারী/ হলফকারীগণের নাম, পিতার নাম, বয়স ও ঠিকানাঃ- 

এই মর্মে ঘোষণাপূর্বক হলফনামা প্রদান করিতেছি যে,

(ক) হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ, ১৯৭২ (১৯৭২ সনের পি. ও নং ৮) এর অধীন ক্রোকের আওতাধীন নহে ; 

(খ) হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশ পরিত্যক্ত সম্পত্তি (নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও নিষ্পত্তি) আদেশ ১৯৭২, (১৯৭২ সনের পি. ও নং ১৬) এর অর্থানুযায়ী পরিত্যক্ত সম্পত্তি নহে ;

(গ) হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত স্থাবর সম্পত্তিআপাততঃ বলবৎ কোনো আইনের অধীন সরকারের বর্তায় নাই, বা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয় নাই;

(ঘ)  প্রস্তাবিত হস্তান্তর আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনের কোন বিধানের সহিত সাংঘর্ষিক নহে; 

 (ঙ)  প্রস্তাবিত হস্তান্তর বাংলাদেশ ল্যান্ড হোল্ডিং (লিমিটেশন) আদেশ,  ১৯৭২ (১৯৭২ সনের পি.ও নং ৯৮) এর অনুচ্ছেদ ৫এ অনুযায়ী বাতিলযোগ্য নহে; এবং 

(চ) হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত স্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সঠিকভাবে বর্ণিত হইয়াছে এবং উহা অবমূল্য করা হয় নাই এবং উল্লেখিত সম্পত্তি হস্তান্তর করনে আবেদনকারীর বৈধ অধিকার রহিয়াছে । 

আমি / আমরা আরও ঘোষণা করিতেছি যে, 

আমি / আমরা হস্তান্তরাধীন জমির নিরঙ্কুশ মালিক। অন্য পক্ষের সহিত বায়না চুক্তি সাক্ষর করি নাই বা অন্য কোথাও বিক্রয় করি নাই বা অন্য কোন পক্ষের নিকট বন্ধক রাখি নাই। এই সম্পত্তি সরকারি খাস/ অর্পিত বা পরিত্যাক্ত সম্পত্তি নয় বা অন্য কোনভাবে সরকারের উপর বর্তায় নাই। দলিলে বর্ণিত কোন তথ্য ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হইয়া থাকিলে ততজন্য আমি/ আমরা দায়ী হইব এবং আমি/ আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করা যাইবে। হস্তান্তরিত জমি সম্পর্কে কোন ভুল, অসত্য বা বিব্ভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করিয়া থাকিলে প্রয়োজনে নিজ খরচায় ভুল শুদ্দ করিয়া দলিলে বর্ণিত সম্পত্তিতে আমার / আমাদের বৈধ স্বত্ব ও অধিকার বহাল আছে এবং প্রদত্ত বিবরণ আমার / আমাদের জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে সত্য। 

তারিখ : 

হলফকারী/ হলফকারীগণের সাক্ষর।  

সনাক্তকারীর ঘোষণা : 

এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, হলফকারী/ হলফকারীগণ আমার পরিচিত এবং আমার সম্মুখে তিনি/ তাহারা দলিলে সাক্ষর প্রদান করিয়াছেন (বা আমি তাহার বা তাহাদের ...... নং ক্রমিকধারী হলফকারীর নাম বকলমে লিখিয়া দিয়েছি ) 

সনাক্তকারীর সাক্ষর:  

(২২) সাব-রেজিস্ট্রারের নাম ও পদবী সহ সাক্ষর ও তারিখ :


(ধন্যবাদ)

 কিভাবে একটি বায়না পত্র লিখবেন তা জানতে- Click করুন 

 

ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
1 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ১৫ মে, ২০২২ এ ১০:৩১ PM

    Good post

Add Comment
comment url