টাকা হাওলাদ বা কর্জনামা দলিল

টাকা হাওলাদ বা কর্জনামা দলিল

টাকা ধার নেওয়া বা টাকা হাওলাদ নেওয়ার চুক্তিপ ত্র দলিলঃ

সমাজে বসবাস করতে হলে আমাদের অবশ্যই একে অন্যের সাহায্য আবশ্যক ৷ তেমনি আমরা আমাদের পরিচিত বন্ধু বা আত্মীয় স্বজন যেকোনো প্রয়োজনে যেমন ব্যবসায়িক কাজে, বিদেশ গমনে, ঘর বাড়ি নির্মাণে কিংবা কোন লাভবান সম্পত্তি ক্রয় করতে ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে টাকা ধারের হাওলাদের জন্য প্রার্থনা করে থাকেন ৷ 

অনেকে হয়তো মৌখিক বিশ্বাসের উপর দিয়ে থাকি, কেউ বা আবার সাদা কাজে সহি স্বাক্ষর নিয়ে মোটা অংকের টাকা ধার দিয়ে থাকি ৷ যা পরবর্তী সময়ে টাকা উত্তোলনের সময় নানান ঝালেমা তৈরি হয় ৷ আইনে গ্রহণযোগ্য কোন প্রমানাদি না থাকায় সৃষ্টি হয় দাঙ্গা হামাঙ্গা ৷ 

তাই টাকা হাওলাদ নেয়া বা দেওয়ার আইন সঙ্গত পদ্ধতি বেছে নিতে হবে ৷ যার ফলে পরবর্তী সময়ে কেহ কোন প্রকার তাল বাহনা বা ওজর আপত্তি করতে পারবে না৷ যদি টাকা ধারের চুক্তিপত্রটি আইন সঙ্গতভাবে লেখা হয়ে থাকে 

এর জন্য যা করতে হবে তা হলো- ১০০/- মূল্যের তিনটি স্ট্যাম্প মোট ৩০০/- টাকার স্ট্যাম্প লাগবে ৷ যেটা বর্তমান বাংলাদেশ আইনে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত ৷ ৩০০/- টাকা মূল্যের নিচে লিখিত কোন স্ট্যাম্প প্রচলিত আইনে গ্রহণযোগ্য হয় না ৷  

টাকা হাওলাদের চুক্তিপত্র লেখার পদ্ধতিঃ 

বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম 

টাকা ধার বা কর্জনামা দলিল

টাকার পরিমাণ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা
উপজেলা- দেওয়ানগঞ্জ, জেলা- জামালপুর৷ 
 
১ম পক্ষ- (টাকা গ্রহীতা): মোঃ সানোয়ার হোসেন, পিতা: মৃত মাদবর আলী, মাতা: জাহানারা বেগম, বয়সঃ ৪৫ বৎসর, জাতীয় পরিচয় পত্র- ৮৪৬৮৩১০৮৮৫, ধর্ম: ইসলাম, পেশা: ব্যবসা, জাতীয়তা: বাংলাদেশী: ঠিকানা: গ্রাম- গামারিয়া, ডাকঘর: দেওয়ানগঞ্জ, উপজেলা: দেওয়ানগঞ্জ, জেলা: জামালপুর৷ 
 
২য় পক্ষ- (টাকা দাতা): মোঃ আলমগীর হোসেন, পিতা: মৃত কুদরত আলী, মাতা: সুফিয়া বেগম, বয়সঃ ৫২ বৎসর, জাতীয় পরিচয় পত্র- ৮৪৬৮৩৩৮৬০, ধর্ম: ইসলাম, পেশা: কৃষিকার্য্য, জাতীয়তা: বাংলাদেশী: ঠিকানা: গ্রাম- গামারিয়া, ডাকঘর: দেওয়ানগঞ্জ, উপজেলা: দেওয়ানগঞ্জ, জেলা: জামালপুর৷ 
 
        পরম করুণাময় মহান সৃষ্টিকর্তার নাম স্বরণ করিয়া টাকা কর্জের চুক্তিপত্র দলিলের আইনানুগ বয়ান লেখা আরম্ভ করিলাম৷ আমি ১মপক্ষ আমার ব্যবসায়িক কাজের জন্য নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় আমার টাকা যোগারের অন্য কোন উপায় না থাকায় আপনি ২য় পক্ষের নিকট টাকা কর্জের প্রার্থনা করায় আপনি ২য়পক্ষ আমার প্রার্থনা মঞ্জুর করিয়া টাকা কর্জ দিতে ইচ্ছুক হওয়ায় নিম্নে লিখিত স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে আপনি ২য় পক্ষের নিকট হইতে ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা নগদ গ্রহণ করিয়া স্বীকার ও অঙ্গিকার করিতেছি যে, আপনি ২য়পক্ষের দেওয়া কর্জের টাকা অদ্য ০৮/০৪/২০২৪ ইং তারিখ হইতে আগামী ০১ বৎসর মেয়াদ মধ্যে আপনি ২য়পক্ষ আপনার প্রয়োজন হেতু চাহিবা মাত্র একযোগে পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিব৷ 

তাহাতে কোন প্রকার অন্যথা হইবে না ৷ যদি টাকা ফেরৎ প্রদানে কোন প্রকার তাল বাহনা, ওজর আপত্তি কিংবা কোন প্রকার গোলযোগ করি, তাহা হইলে আপনি ২য়পক্ষ অত্র চুক্তিপত্র দলিল দ্বারা গ্রাম্য শালিশী কিংবা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া টাকা ফেরৎ লইতে পারিবেন ৷ 

আরও প্রকাশ থাকে যে, আমি ১মপক্ষের অবর্তমানে/মৃত্যুবরণ করিলে আমার পরবর্তী ওয়ারিশ টাকা ফেরৎ প্রদানে বাধ্য থাকিবে৷ এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র চুক্তিপত্র দলিল লেখাইয়া সহি স্বাক্ষর ও সম্পাদন করিয়া দিলাম৷ 
ইতি সন- ----------------  ইং 
 
অত্র চুক্তিপত্র দলিল ০৩ ফর্দ্দ স্ট্যাম্প দ্বারা লিখিত৷ চুক্তিপত্রে ০৩ জন স্বাক্ষী রহিল৷ 
 
১মপক্ষের স্বাক্ষরঃ                                 ২য়পক্ষের স্বাক্ষরঃ 
 

স্বাক্ষীগণের নামঃ- 


 কিভাবে একটি বায়না পত্র লিখবেন?

 

ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
2 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ২৬ মে, ২০২২ এ ১০:৩৪ PM

    Nice post

Add Comment
comment url