ব্লক লেখার নিয়ম/Blog writing rules
ব্লগ পোস্টে কিভাবে সুন্দর করে গুছিয়ে আকর্ষনীয়ভাবে আর্টিকেল লিখতে হয় এবং কি বিষয়ে আর্টিকেল লিখলে বেশি ভিজিটর পাওয়া এটা সকল নতুন আর্টিকেল রাইটারদের প্রশ্ন হয়ে থাকে ৷ কোন বিষয়ের উপর বেশি ভিজিটর পাওয়া যাবে আসলে সেটা বড় কথা না, আসল কথা হলো যে বিষয়ে আপনি পারদর্শী ও অভিজ্ঞতা আছে এবং এমন বিষয় বেছে নিতে হবে যেটাতে আপনি দীর্ঘ দিন ধারাবাহিকভাবে লিখার সক্ষমতা আছে এভাবে ইউনিক আর্টিকেল লিখে কিছু ফরম্যাট মেইনটেইন করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখলে আশা করা যায় খুব ভালো সফলতা অর্জন করা সম্ভব ৷
আপনার ইউনিকভাবে আর্টিকেল লিখা গুলো যাতে একজন পাঠকের মনোযোগ আকর্ষন করে এবং পাঠক যাতে কিছু সময় নিয়ে আর্টিকেল গুলো পড়ে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে ৷
আর আর্টিকেল গুলো পাঠকের কাছে পৌছানোর একমাত্র মাধ্যম হলো ভালোভাবে SEO অপটিমাইজড করে আর্টিকেল পাবলিশ করা
যদি গুগল ক্রাউলার আপনার পোস্টটি ভালোভাবে বুঝতে না পারে সার্চ রেজাল্টে আর্টিকেলের পজিশন ভালো হবে না ৷ তাই পোস্ট পাবলিশের আগে ভালোভাবে SEO করে নিতে হবে ৷
কিভাবে আর্টিকেল লিখবেন-
এখানে আপনার কনটেন্ট গুলো কিছু লাইন লেখার পর পর স্টেপ তৈরি করতে হবে যাতে দেখতে সুন্দর ও বুঝতে সুবিধা হয় এই ফরম্যাট গুলো মেনে
চলার বিকল্প নেই, এবং ব্লগের ফরম্যাট নিয়মানুযায়ী কাজ করতে হবে ৷ আমরা যারা নতুন ব্লগে বা ওয়ার্ডপ্রেসে উপর লেখালেখি করতে চাচ্ছি তাদের জন্য কিভাবে আর্টিকেল লিখতে সেই বিষয়ে পুরোপুরি জানবো আজ
(উল্লেখ্য যে, এতক্ষন উপরের যে অংশটুকু পড়লাম সেটাই হলো ভূমিকা ৷ ১০০-১৫০ শব্দের মাঝেই ভূমিকা টা শেষ করাই উত্তম ৷ কারন উপরের অংশটুকু পাঠক পড়লেই বুঝতে পারবে কেন এই আর্টিকেলটি পড়া প্রয়োজন এবং এই আর্টিকেল পড়লে কি কি বিষয়ে জানা যাবে অর্থাৎ উপরের অংশটুকুতে জানলাম কিভাবে আর্টিকেল ফরম্যাট মেইনটেইন করে গুগল সার্চে ভালো পজিশন পাবে )
কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেসে আর্টিকেল লিখতে হয়?
আপনার আর্টিকেল টি গুগলকে বুঝানোর জন্য এর টাইটেল, হেডিং, সাব-হেডিং, এই বিষয় গুলো গুরুত্ব দেয়া ৷ আর্টিকেলের ভূমিকার পর সেই পোস্টের শিরোনাম অথবা হেডিং ২ ব্যবহার করা ৷ কারন এখান থেকেই আর্টিকেলের মূল বিষয় বস্তু শুরু ৷ হেডিং২ তেই মূলত সেই আর্টিকেলের প্রকৃত প্রতিফলন পাওয়া যাবে ৷ তাই আর্টিকেলের টাইটেল যেটা লেখা থাকবে তার কাছাকাছি শব্দ ব্যবহার করতে হবে হেডিং২ তে ৷
আর পুরো বডিতে আমরা যে শব্দগুলি লিখছি এগুলো হলো প্যারাগ্রাফ । উপরের প্যারাগ্রাফ অপশন থেকে হেডিং গুলি স্টেপ বাই স্টেপ সাজিয়ে নিতে হবে ৷ টাইটেল বডিতে ব্যবহার করা যাবে না ৷
কি ওয়ার্ড রিসার্চ-
আর্টিকেল লেখার আগে সর্ব প্রথম কি ওয়ার্ড রিসার্চ কে প্রাধান্য দিতে হবে ৷ কি ওয়ার্ড রিসার্চ ব্যতিত আর্টিকেল লিখা মানেই অহেতুক সময়ের অপচয় ৷ একজন নতুন রাইটার প্রধানত এই ভুলটি করে থাকেন ৷ কি ওয়ার্ড রিসার্চ না করেই লিখতে বসেন যেটি পুরোপুরি সময় নষ্ট মাত্র ৷
এখানে যেহেতু আমরা আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয়, এর ফরম্যাট কিভাবে মেইনটেইন করতে হয় সেটি জানার চেষ্টা করছি ৷ তাই এখানে কি ওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে প্রথমে ধারণা দেয়া হয়নি ৷ কি ওয়ার্ড রিসার্চ ব্যতিত আর্টিকেল লিখে কোন ফায়দা হবে না, গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর পাবার প্রধানত কাজ হলো কি ওয়ার্ড রিসার্চ করে লেখা আরম্ভ করা ৷
এর জন্য কোন বিষয়ে আপনি লিখতে চাচ্ছেন সেটা স্থির করে কি ওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে, যেমন, কম্পিউটার ফাস্ট কাজ করবে কিভাবে এটা নিয়ে লিখতে চাইলে, সেই নির্দিষ্ট টুলস রিসার্চ করে বেছে নিয়ে লিখতে হবে ৷ খেয়াল রাখতে কোন কি ওয়ার্ড গুলো সার্চ রেজাল্টে কেমন ভ্যালু আছে এবং কি পরিমান সার্চ করা হচ্ছে ৷ সেখান পছন্দমত একটি মূল কি ওয়ার্ড ও দুইটি রিলেটেড কি ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে হবে ৷
বাংলা আর্টিকেল কি ওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য কিওয়ার্ডপ্লানার অথবা উবারসাজেস্ট ব্যবহার করুন এবং ইংলিশ কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য semrush অথবা ahref ব্যবহার করতে পারেন ৷
তবে কিওয়ার্ড রিসার্চের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে যেগুলোর সার্চ ডিফিকাল্ট ( SD ) ১০ এর বেশি সেগুলো ব্যবহার করা যাবে না ৷
সাব হেডিংয়ের ব্যবহার-
আর্টিকেলের একেকটা প্যারাগ্রাফ সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য টাইটেল ব্যবহারের পর হেডিং-১ হেডিং-২ হেডিং-৩ এভাবে এই হেডিং গুলোর নাম ব্যবহার করে প্রতিটি হেডিংয়ে ৩০০ শব্দের মধ্যেই রাখা ভালো হবে ৷ এভাবে প্যারার মাঝে মাঝে স্পেস রাখলে পাঠকের পড়তে সুবিধা এবং প্যারা গুলো দেখতেও সুন্দর লাগবে ৷
আর্টিকেলে ইমেজ ব্যবহার-
আর্টিকেলের ভ্যালু বাড়াতে ইমেজ ব্যবহার করা জরুরী ৷ ফিচার ইমেজ ব্যবহারের পরেও বডিতে আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে অর্থবহ ইমেজ ব্যবহার করা যা একজন পাঠককে খুব সহজেই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে ৷
ইমেজ/ছবি ব্যবহারের নিয়ম-
আর্টিকেল বডিতে ছবি ব্যবহার নিয়ম গুলি ভালো ভাবে মাথায় রাখতে হবে ৷
যেমন, ১৷ ৭৫০/৩০০ পিক্সেল ব্যবহার করতে হবে ফিচার ইমেজ এর জন্য ২৷ বডিতে ব্যবহারের জন্য একইভাবে তৈরি করতে হবে, এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩৫০/২০০ পিক্সেল হওয়াই উত্তম, ৩৷ ইমেজ যাতে ৪০ কে,বি এর বেশি না হয়, তার জন্য ইমেজ কনভাটর দিয়ে ইমেজ সাইজ কমিয়ে নিতে হবে, ৪৷ ইমেজ গুলোর আলাদা আলাদা নাম ব্যবহার করতে হবে রিলেটেড সম্পর্কিত কিওয়ার্ড দিয়ে ৷ আর ইমেজে টাইটেল, ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে তাতে কেউ সার্চ করলে তার রেজাল্টে ইমেজ চলে যাবে ৷
Online Image Converter To JPEG
ট্যাগ ব্যবহার এবং লেভেল/ক্যাটাগরি-
কোন ব্লগে বা সাইটে আমরা কি নিয়ে লিখতে চাচ্ছি সেটি কে আগে থেকে ধারণা নিয়ে ক্যাটাগরি নির্ণয় করতে হবে, সঠিক কিওয়ার্ড বেছে আর্টিকেল সাজানোর জন্য ট্যাগ ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ৷
উদাহরণ স্বরুপ- এখন এই আর্টিকেলটি ব্লগ ক্যাটাগরিতে লেখা হচ্ছে, এর মাঝে আর্টিকেল লেখার নিয়ম, কিওয়ার্ড রিসার্চ, SEO ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে ৷ আর এই গুলিকে ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে ৷
পারমালিঙ্ক ব্যবহার-
সার্চ ইঞ্জিন গুগল এবং যিনি আর্টিকেলটির পাঠক হবেন তাদের কে আপনার আর্টিকেল সম্পর্কে বুঝানোর জন্য পারমালিঙ্ক অন্যতম ৷ পারমালিঙ্কে শুধু মেইন কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করতে হবে ৷ যেমন ছবিতে দেখা যাচ্ছে পারমালিঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম, (পারমালিঙ্ক তিনটি শব্দেই লেখা উত্তম, প্রতিটি শব্দের মাঝেই (-) হাইফেন ব্যবহার করতে হবে) যেমন- Blog-writing-rules
মেটা ডিস্কিপশন- মেটা ডিস্কিপশন বক্সে একটি বা দুইটি কিওয়ার্ড দিয়ে তার পর সেই আর্টিকেল সম্পর্কিত কিছু লিখে দেয়া ৷ কারণ ভিজিটর কে আগ্রহী করে তুলার জন্য এখানে ১৫০ টি বর্ণের শব্দ নিজের মত করে লেখা যাবে ৷ সেটি গুগল সার্চে আর্টিকেলটির রেজাল্টের সাথে এই মেটা ডিস্কিপশন দেখানো হয়ে থাকে ৷
Option- Reader Comments- এখানে Allow অপশনটি চালু করে রাখতে হবে
Custom Robot Tags- এখানে Default অপশনটি টিকচিহ্ন করে রাখতে হবে