যৌথ ব্যাবসায়িক চুক্তিনামা দলিল
একটি ব্যাবসায়িক চুক্তিপত্র কিভাবে সম্পাদিত করবেন
কিভাবে যৌথ ব্যাবসায়িক চুক্তিনামা লেখা হয়
১ম পক্ষ :
২য় পক্ষ :
৩য় পক্ষ :
৪র্থ পক্ষ :
(বিঃদ্রঃ একাধিক পক্ষের নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে)
পরম করুণাময় মহান সৃস্টি কর্তার নাম স্মরণ করিয়া অত্র যৌথ ব্যাবসায়িক চুক্তিনামা দলিল লেখা শুরু করিলাম । জেলা: জামালপুর, উপজেলা, দেওয়ানগঞ্জ এলাকাধীন দেওয়ানগঞ্জ বাজারস্থিত জিরোপয়েন্ট রোড সংলগ্ন ফাইভ স্টার ডিস এন্টেনা নামে একটি ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আমরা সর্ব পক্ষগণের মধ্যে প্রস্তাব উপস্থাপন করিলে আমরা সর্বপক্ষগণ নিম্ন লিখিত শর্তাবলী মানিয়া ও বুঝিয়া যৌথভাবে অংশীদারী নিযুক্ত হইয়া সর্বপক্ষগণ সমান খরচাদি বহন করিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিব৷ উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ সকল পক্ষগণ সমহারে বন্টন করিয়া লইয়া লইব৷
তাহাতে কোন পক্ষের ওজর আপত্তি গ্রহণযোগ্য হইবে না৷ উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলতি থাকা কালিন সময় ৬ মাসের মধ্যে কোন পক্ষ অংশীদারী বাতিল করিতে চাইলে তাহার কোন প্রকার লভ্যাংশ ছাড়াই মূল টাকা ফেরৎ লইতে পারিবে৷ কিংবা কোন পক্ষের মৃত্যু ঘটিলে তাহার অংশ নমিনীর নামে পরিচালিত হইবে বা তাহার প্রাপ্তাংশ নমিনী পাইবে ৷
ভবিষ্যতে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির আরো মূলধন প্রয়োজন হলে আমরা সর্বপক্ষগণ সম্মিলিতভাবে বহন করিব৷ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যে সকল মিটিং ও কোন প্রস্তাব বাস্তবায়ন সকল পক্ষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং ৮০% পক্ষের সম্মতিতে কার্য বাস্তয়ন হবে তাহাতে কাহারো কোন আপত্তি গ্রহণযোগ্য হইবে না ৷
এই মর্মে আমরা সকল পক্ষগণ অঙ্গিকার বা স্বীকারোক্তি করিতেছি যে, অত্র যৌথ ব্যবসায়িক চুক্তিনামার সকল শর্ত মানিয়া শান্তি বজায় রাখিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিব ৷ তাহাতে কোন পক্ষ অপর কোন পক্ষের ক্ষতি করিতে পারিব না যদি কোন পক্ষ অপর কোন পক্ষের ক্ষতি করি তাহলে ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষকে তাহার ক্ষতির খেসারত দিতে বাধ্য থাকিব এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে সুস্থ্য মস্তিস্কে অত্র যৌথ ব্যবসায়িক চুক্তিনামা দলিল লিখিয়া সম্পাদন করিয়া সকল পক্ষগণ স্ব-হস্তে নিজ নিজ নাম স্বাক্ষর করিলাম ৷
সম্পাদনের তারিখ :- ০২/১০/২০২২
যৌথ ব্যাবসায়িক চুক্তির শর্ত সমূহঃ
১। আমরা সকল পক্ষগণ----- ইং তারিখ হইতে ফাইভ স্টার ডিস এন্টেনা নামে একটি ব্যবসা পরিচালনা শুরু করিলাম ।
২। সকল পক্ষগণ সমহারে মূলধন প্রদান করিয়া সম্মিলিতভাবে ব্যবসা পরিচালনা করিব ।
৩। ব্যবসার লভ্যাংশ প্রতিমাসে পক্ষগণ সমানভাবে বন্টন করিয়া লইব ।
৪। ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করিব । কোন পক্ষের গাফিলতির কারণে ব্যবসার ক্ষতি হইলে তাকে ক্ষতি পূরণ দিতে বাধ্য থাকিবে ।
৫। ব্যবসা চলাকালীন কোন পক্ষের মৃত্যু হইলে তাহার নমিনী প্রতিমাসে লভ্যাংশ পাইবে ।
৬। ব্যবসার লাভ ক্ষতির হিসাব প্রতি মাসের ১-৫ তারিখের চূড়ান্ত প্রকাশ করা হইবে ।
৭। ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে বাড়তি টাকার প্রয়োজন হলে সকল পক্ষ প্রদান করিতে বাধ্য থাকিব ।
[এভাবে আপনারা ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী শর্ত লিখে দিতে পারেন ]
একটি চুক্তিনামা দলিলে যা অবশ্যই প্রয়োজন
প্রথমত, চুক্তি করার সময় যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্যবসার জন্য, এটি ছোট বা বড় হোক না কেন, চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত কার কি দায়িত্ব পালন করতে হবে।
চুক্তিতে বড় ধরনের জটিলতার আশঙ্কা থাকবে। চুক্তিতে প্রতিটি পক্ষের নাম ও ঠিকানা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলে এর একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
চুক্তিতে কাকে কেমন ভূমিকা পালন করতে হবে তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে । একটি চুক্তি কোন নির্দিষ্ট তারিখ বা নির্দিষ্ট কাজ নিয়ে শুরু হলে তার মেয়াদ সম্পন্ন হবার সমাপ্তির তারিখ থাকতে হবে।
এটি ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত হলে মূলধনের পরিমাণ এবং তা থেকে কীভাবে লভ্যাংশ সংগ্রহ করা হবে, কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা হবে ইত্যাদি চুক্তিতে থাকতে হবে।
চুক্তিতে অবশ্যই উল্লেখ থাকবে যে কোন বিবাদের সমাধান কিভাবে করা হবে। বিশেষ করে বিরোধ দেখা দিলে আলোচনা বা সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুযোগ থাকবে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে।
বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই সালিশির মাধ্যমে যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তিকে উৎসাহিত করা হয়। অতএব, চুক্তির একটি অনুচ্ছেদে এই শর্তটি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তি নামা সালিশি আইন ২০০১ এর মাধ্যমে মামলা নিস্পত্তির বিধানটি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে
যেকোনো চুক্তির শেষ অংশে উভয় পক্ষ এবং সাক্ষীদের দ্বারা স্বাক্ষরিত হতে হবে। যে তারিখে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে তা অবশ্যই চুক্তিতে দিতে হবে।
অপ্রাপ্তবয়স্ক, পাগল, দেউলিয়া, সরকারী কর্মচারী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, বিদেশী রাষ্ট্রদূত, বিদেশী শত্রু এবং বিশ্বাসঘাতকদের সাথে কোন চুক্তি করা যাবে না। বিশেষ করে ব্যবসায়িক ডিল এককালীন ডিল নয়।