দলিল রেজিস্ট্রি করার পর কেন নকল কপি সংগ্রহ করা প্রয়োজন
জমি ক্রয়ের পর তা মালিকানা হস্তান্তর বা পরিবর্তনের প্রধান মাধ্যম হলো দলিল৷ আর সেই দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য দলিল দাতা ও গ্রহিতাকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষ দ্বারা দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রারের বরাবর দাখিল করে জমির দলিল রেজিস্ট্রি কার্য সম্পন্ন করা হয় ৷
বর্তমানে জমি রেজিস্ট্রি করার পর এর দলিলের অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষ হলে মূল দলিল খানা হাতে পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় অন্তত প্রায় তিন বছরের কাছাকাছি ৷ আর একটি কথা মনে রাখবেন, দলিল লেখক বা উকিলের মাধ্যমে যাকে দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করান না কেন
জমি রেজিস্ট্রি করার পর অবশ্যই দলিলের রশিদ খানা নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করে রাখবেন ৷
কোন তৃতীয় পক্ষের নিকট রশিদ জমা না রাখাই ভালো ৷ যেহেতু মূল দলিল আপনার হাতে পেতে অনেক সময় লাগবে ৷
এই সময়ের মধ্যে দলিলের রশিদ খানা যদি হারিয়ে যায় তাহলে আরও এক বিপদ ৷ কারণ মূল দলিল সংগ্রহের সময় রশিদ জমা প্রদান করে দলিল নিতে হবে ৷
আরো পড়ুন-- দলিলের রশিদ হারিয়ে গেলে করণীয় কি ?
কেন দলিলের নকল কপি সংগ্রহ করা প্রয়োজন
এমন তো হতে পারে মূল দলিল খানা হাতে পাবার আগেই জমিটি আবার বিক্রি করার প্রয়োজন হয় ৷ তার জন্যই একান্ত প্রয়োজন জমি রেজিস্ট্রি করার পর সেই দিনই দলিলের সার্টিফাইড কপি অর্থাৎ নকল কপি চাওয়া
এখনকার সময়ে কোন দলিল হাতে লেখা হয় না৷ সম্পূর্ণ দলিল কম্পিউটারে মূদ্রণ করা হয় ৷ তাই আপনার দলিলের নকল কপি যদি কম্পিউটারের মূদ্রণ করা পেতে চান তাহলে জমি রেজিস্ট্রি করার দিনই নকলের আবেদন করুন৷
এর জন্য সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকলনবীসদের যে কোন একজনের সাথে কথা বললেই আপনি সহজেই নকল কপি পেয়ে যাবেন৷ তার জন্য খুব বেশি একটা ব্যয় হবে না একজন নকলনবীসের পারিশ্রমিক ব্যতিত নকল ফি বাবদ ৭০০/- টাকার মত অর্থাৎ মোট বারোশ থেকে পনেরশ টাকার মধ্যেই আপনি নকল পেয়ে যাবেন মাত্র ৩-৪ দিন সময়ের মধ্যে ৷
এছাড়াও পুরান দলিলের নকলও সংগ্রহ করতে পারবেন ৷ নকলনবীসের নিকট হইতে তার পারিশ্রমিক ফি সহ হয়তো পনেরোশ টাকার মত লাগবে ৷
আরো পড়ুন-- দলিলের নকল বা সার্টিফাইড কপি প্রাপ্তির নিয়ম
নকল কি কি কাজে ব্যবহার করবেন
আগেই বলেছি জমি রেজিস্ট্রি করার পর মূল দলিল পেতে অন্তত তিন বছর সময় লাগে৷ আর এর মাঝে প্রয়োজনের তাগিদে জমিটি বিক্রয় করার প্রয়োজন হতে পারে ৷
তাই আপনি যদি দলিলের নকল কপি সংগ্রহ করে থাকেন তাহলে সেই নকল কপি দিয়ে আপনি নামজারী করতে পারবেন অর্থাৎ আপনার নামে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস হইতে নতুন খতিয়ান তৈরি করতে পারবেন৷
নামজারী করার পর জমিটি বিক্রয়ও করতে পারবেন৷ এমনকি এই নকল কপি দিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ সংগ্রহ সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন ৷ তাই আবারো বলছি জমি ক্রয় করে তা রেজিস্ট্রি করার পর নকল কপি সংগ্রহ করা খুব জরুরী ৷