মিসকেস মামলার জন্য আবেদন

মিসকেস মামলা দায়েরের পদ্ধতি

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ সনের ১৫০ ধারার ক্ষমতার অধীনে, রাজস্ব কর্মকর্তা অর্থাৎ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ধারা- ১১৬, ১১৭ এবং ১৪৩-এর অধীনে নামজারি/ জামাখারিজ/জমা একত্রীকরনের  যে আদেশ দিয়ে থাকেন তা সঠিক প্রমাণ সাপেক্ষে পর্যালোচনা বা পুনর্বিবেচনার অধিকার রাখে।  উল্লিখিত ১৫০ ধারার অধীনে দায়ের করা বিভিন্ন মামলা হল নিম্নরুপঃ- 

👉 নামজারী মামলা দায়েরের ফলে জমির মালিকের নামে সৃষ্ট খতিয়ানে কোন প্রকার ভুল থাকলে এবং উক্ত ভুল সংশোধনে অন্য কোন নামজারী মামলা জড়িত থাকলে সেক্ষেত্রে, একটি বিবিধ বা বিবিধ মামলা দায়েরের জন্য একটি আবেদন করতে হবে।

যেমন- কোনো নামজারী খতিয়ান দখল অনুযায়ী রেজিস্ট্রি না হলে বা দখল অনুযায়ী খতিয়ান না হলে, জমির পরিমাণ কম বা বেশি হলে ইত্যাদি 

👉 বিএস খতিয়ানে কোন করণিক ত্রুটি থাকলে বিবিধ মামলা দায়েরের মাধ্যমে করণিক ত্রুটি সংশোধন করা যাবে । 

👉 কোনো ব্যক্তি যখন কোনো জমির মালিকানা অধিগ্রহণ করেন এবং তার পূর্বে যদি অন্য কোনো ব্যক্তি উক্ত জমির নামজারী করিয়ে থাকেন তার জন্য জমি অপর্যাপ্ত বলে প্রমাণিত হলে তাহলে প্রথমে  উক্ত নামজারী টি বাতিল বা সংশোধন করতে হবে এবং তারপর নিজ নামীয় নামজারী করণের জন্য মামলা করতে হবে।

মিসকেস মামলা দায়েরের পদ্ধতি:

👉 প্রথমে একটি সাদা কাগজে আপনার জমি এলাকার নিকটতম সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বরাবরে আপনি কী ধরনের প্রতিকার পেতে চান তা বিস্তারিতভাবে একটি আবেদন লিখুন। এছাড়া বিবাদীর নাম, বিবাদীর নামে সৃষ্ট কোন দলিলের বিবরণ এবং আপনার নিজের স্বত্ব কিভাবে ক্ষতি হয়েছে তার বিবরণ থাকতে হবে 

👉 উক্ত নামজারি আবেদনের ক্ষেত্রে যেমন ২০/- (বিশ) টাকা কোর্ট ফি সংযুক্ত করা হবে;

👉  আবেদনে উল্লেখিত যুক্তির সমর্থনে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।

মিসকেস আবেদন এন্ট্রি


বিবিধ মামলা দায়েরের জন্য আবেদনের পর পরবর্তী পদ্ধতি 

👉 আবেদনের পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে বিবিধ মামলার শুনানি গ্রহণ করা হয়।

👉 শুনানি শেষে, আবেদনে প্রাথমিকভাবে সত্যতা প্রমান পাওয়া গেলে মিসকেস মামলা দায়েরের আদেশ দেওয়া হয় বা আবেদন খারিজ করা হয়। 

👉 যদি মিসকেস একটি নতুন মামলা দায়ের করা হয়, তাহলে সাধারণত সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষকে শুনানির জন্য নোটিশ দেওয়া হয় বা প্রতিটি মামলার ধরণ  অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

মিসকেস মামলার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বরাবর আবেদন এর নমুনা :

বরাবর 
সহকারী কমিশনার (ভূমি) 
জামালপুর সদর, জামালপুর । 

বিষয়: ২০২০-২০২১ ইং সনের ৭৪০(IX-I) নং নামজারী মোকদ্দমা বাতিলের আবেদন প্রসঙ্গে । 

বাদীর নামবিবাদীর নাম
মোঃ রফিকুল ইসলাম পিতাঃ আব্দুর রহমান গ্রাম: কাপাসিয়া থানা : জামালপুর সদর জেলা : জামালপুর মোঃ বরকত অলিল পিতাঃ মৃত আঃ মান্নান গ্রাম : উত্তর কাপাসিয়া থানা : জামালপুর সদর জেলা : জামালপুর

জনাব, 
      যথা বিহীত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি বাদীপক্ষ নিম্ন তফসিল বর্ণিত ভূমি মৌজা- কাপাসিয়া মধ্যে বিগত ২৫/০৩/১৯৮৫ ইং তারিখে ৪৫১২ নং সাব কবলা দলিল মূলে ০৮ শতাংশ জমি ও বিগত ১২/০৮/১৯৮৫ ইং তারিখে ৬৮৭২ নং সাব কবলা দলিল মূলে ০২ শতাংশ জমি মোট ১০ শতাংশ জমি আর ও আর রেকর্ডীয় মালিক জব্বার আলীর নিকট হইতে খরিদ করিয়া বিগত আর এস রেকর্ডের সময় আর এস- ৬৩০ নং খতিয়ানে আমার নামে .০৮৭৫ শতাংশ জমি রেকর্ড চূড়ান্ত করিয়া ভোগবান মালিক দখলকার থাকা অবস্থায় আমার টাকার বিশেষ প্রয়োজনে উপরোক্ত ৪৫১২ ও ৬৮৭২ নং দলিল মুলে প্রাপ্ত ১০ শতাংশ জমি বিবাদী বরকত আলী ও তাহার ০২ ভ্রাতার নিকট সমহারে বিক্রয় করি । তাহাতে বরকত আলীর তিনের এক অংশ .০৩৩৩ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হইয়া দখলকার থাকাবস্থায় জামালপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস হইতে ২০২০-২০২১ ইং সনের ৭৪০ (IX-I) নং নামজারী মোকদ্দমা মূলে ৩৬৩০ নং খতিয়ান খুলিয়া .০৩৫০ শতাংশ জমি খারিজ করিয়া লয় । ইহাতে আমি বাদী পক্ষ আমার বসতবাড়ি জমি হইতে .০০১৭ শতাংশ জমি অতিরিক্ত খারিজ করিয়া লয় । 

         সেই হেতু জনাবের নিকট প্রাথনা এই যে, বিবাদীর দলিলাদি প্রমাণ করিয়া উক্ত নামজারী খতিয়ান সংশোধন করিয়া দিতে আপনার সু-মর্জি হয় । 

তারিখ : 

                    ইতি নিবেদক 
        মোঃ রফিকুল ইসলাম 
        পিতাঃ আব্দুর রহমান 
        গ্রাম: কাপাসিয়া 
        থানা : জামালপুর সদর 
        জেলা : জামালপুর


তফসিল :  জেলা: জামালপুর, উপজেলা: জামালপুর সদর 
মৌজা : কাপাসিয়া, জে এল নং- ৪৫। 
আর ও আর- ৬৫৪ নং খতিয়ান  আর এস- ৬৩০ নং খতিয়ান খারিজ- ৩৬২০  নং খতিয়ানভুক্ত 
আর ও আর- ৭৮৪ নং দাগ আর এস- ৫৪৭৮ নং দাগ জমির শ্রেণী বাড়ি অত্র দাগে পূর্বাংশে খারিজকৃত.............................      .০৩৫০ শতাংশ  জমি হইতে বাদীর দাবিকৃত......       .০০১৭ শতাংশ ।

(বিঃদ্র- উপরোক্ত আবেদনটি আপনাদের প্রতিকার চাওয়ার ধরন অনুযায়ী বিস্তারিত লিখে দিবেন) 
আবেদন এর উপরে অবশ্যই বিশ টাকা মূল্যের একটি কোর্ট ফি সংযুক্ত করতে হবে ৷ 

ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url