টাইপিং শেখার জন্য হাতের পজিশন

টাইপিং একটি হাতের কৌশল মাত্র । আমরা যারা টাইপিং শিখতে চাই সঠিক নিয়ম না জানার কারণে টাইপিং শেখাটা খুব কঠিন মনে হয় । আপনি যে কোন ভাষায় টাইপিং শিখতে চান না কেন তার জন্য প্রথমে আপনাকে ইংলিশ টাইপিং শিখতে হবে । অনেকেই শুরু থেকেই বাংলা টাইপিং শিখতে চান । 

তবে একটা কথা মনে রাখবেন ইংলিশ টাইপিং আয়ত্ত বা মনে রাখতে না পারলে বাংলা টাইপিং শেখা অনেক কঠিন । আপনি যদি ইংলিশ টাইপিং না শিখে বাংলা টাইপিং শুরু করতে চান । তাহলে টাইপিং শেখা আপনার জন্য অনেক কঠিন হবে। তাই বাংলা টাইপিং শেখার জন্য আপনাকে প্রথমে ইংলিশ টাইপিং শিখতে হবে।

টাইপিং শেখার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য হাতের পজিশন সঠিকভাবে বসানো খুব জরুরী । কিভাবে সঠিক নিয়মে কিবোর্ডে আপনার হাতের অবস্থান বসিয়ে দ্রুত টাইপিং শিখবেন চলুন দেখা যাক 

টাইপিং শেখার জন্য হাতের পজিশন 

টাইপিং দক্ষতা ও কম্পিউটার কিবোর্ডে টাইপিং এর গতি বৃদ্ধির জন্য আপনাকে প্রথমে যে বিষয়টি মনোযোগ দিতে হবে তা হল- "সঠিক নিয়ম ব্যবহার করে টাইপিং করা"

টাইপিং শেখার শুরুতে আপনার স্টার্ট পজিশন অর্থাৎ হাতের অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে। 

হাতের দশটি আঙুল ব্যবহার করে কি-বোর্ড এর দিকে না তাকিয়ে মনিটরে তাকিয়ে টাইপ করার কৌশলকে বলা হয় টাচ টাইপিং। যা রপ্ত করতে পারলেই আপনিও হয়ে উঠবেন একজন দক্ষ টাইপার।

নিচের দেয়া ছবির মতো হাতের পজিশন মানে বাম হাতের প্রথম চারটি আঙুল সব সময় কীবোর্ডে থাকা উচিত।

টাইপিং শেখার জন্য হাতের পজিশন


এবার টাইপিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনার কম্পিউটার থেকে একটি মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড ফাইল ওপেন করে ইংরেজি  Times New Roman ফন্ট অপশন সিলেক্ট করতে হবে 

তার পরে কীবোর্ডের দিকে লক্ষ্য করতে হবে এবং আঙ্গুলগুলিকে সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। হাতের আঙ্গুলগুলি উপরের চিত্রের দেখানো অবস্থানে সেট করতে হবে। বাম হাতের চারটি আঙুল ‍A, S, D, F এবং ডান হাতের চারটি আঙুল J, K, L, ; পজিশনে রেখে F কী আঙ্গুল দিয়ে G লিখতে হবে এবং J আঙ্গুল দিয়ে H লিখতে হবে।

আপনি যদি একজন নতুন টাইপ রাইটার হন, তাহলে প্রথমে কিবোর্ডে লক্ষ্য করে দেখে দেখে অনুশীলন করুন 

এর পর ধীরে ধীরে 'A' থেকে শুরু করে '; একটা একটা করে কীগুলো টিপতে থাকুন আপনার হাতের পজিশন অনুযায়ী ওয়ার্ড গুলি সঠিকভাবে লেখা হচ্ছে কিনা । শুরুতেই  দ্রুত লিখতে যাবেন না এটা কখনোই সঠিক পথ নয়। তাই ধীরে ধীরে 'A' থেকে শুরু করে '; ' একের পর এক কী টিপতে থাকুন এবং দেখুন আপনি কম্পিউটারের স্ক্রিনে কী লিখছেন। 

এভাবে কিছুক্ষণ প্রাকটিস করার পর কী বোর্ডের দিকে না তাকিয়ে কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অন্তত ৩০/৪০ বার 'A' থেকে শুরু করুন; পর্যন্ত একটা একটা করে কীগুলো টিপতে থাকুন যতক্ষণ না ওয়ার্ড গুলি আপনার আয়ত্তে না আসছে। 

তার পর বাম হাতের আঙুল দিয়ে উপরের Q এবং নিচে Z,  আঙুল দিয়ে উপরের W এবং নিচে X,  আঙুল দিয়ে উপরের E, আঙুল দিয়ে উপরের R, T এবং নিচে C, V ও G লিখতে হবে 
এবং ডান হাতের আঙুল দিয়ে উপরের Y, U, বা দিকে H, এবং নিচে B, N, K আঙুল দিয়ে উপরের I এবং নিচে M,  আঙুল দিয়ে উপরের O, নিচের আঙুল দিয়ে উপরের P  লিখতে হবে । 

টাইপিং শেখার জন্য আপনাকে ধৈর্য ও সময় দিতে হবে অনেকেই সময় দিতে চান না । তাই ধীরে ধীরে আপনার টাইপিং সময় বাড়াতে হবে । আপনি যত সময় দিতে পারবেন আপনার ততই টাইপিং দক্ষতা এবং খুব দ্রুত টাইপ করা শিখে যাবেন । 
একটা ওয়ার্ড লিখার জন্য আপনি সময় নির্ধারণ করে লিখবেন এভাবে লিখলে বা অনুশীলন করলে খুব কম সময়ে দ্রুত টাইপ করা শিখে যাবেন । 

দ্রুত টাইপিং দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজন কেন?

আপনার যদি কম্পিউটারে দ্রুত টাইপিং দক্ষতা থাকে তবে এই দক্ষতাগুলি আপনার জীবনে এবং কর্মজীবনে কাজে আসবে।

যারা দ্রুত টাইপ করতে পারেন এবং কীবোর্ডে টাইপ করার সঠিক নিয়ম ব্যবহার করে টাইপ করতে পারেন, তারা যেকোনো কর্পোরেট অফিস, ব্যাক অফিস বা সরকারি চাকরিতে সবসময়ই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন।

আপনি যদি একজন ছাত্র হন বা সবেমাত্র চাকরি খুঁজতে শুরু করেন, দেরি করবেন না, কীবোর্ড টাইপিংয়ের সঠিক নিয়ম এবং কীভাবে দ্রুত টাইপ করবেন তা শিখুন।

কিছু বড় ওয়ার্ড বা শব্দ দিয়ে নিয়মিত টাইপিং অনুশীলন করুন

আপনি যদি সত্যিই আপনার টাইপিং গতি বাড়াতে চান, তাহলে বড় শব্দ এবং বাক্য টাইপ করে অনুশীলন করুন।

যখন আপনি বড় শব্দ এবং বাক্য টাইপ করে অনুশীলন করবেন তখন আপনি কীবোর্ডে বর্ণমালা কোথায় আছে তা জানতে পারবেন। ফলে আপনি জানতে পারবেন কোন বর্ণমালা কোথায় কোন শব্দ টাইপ করতে হয় খুব সহজে এবং দ্রুত।

সুতরাং, আপনি যত তাড়াতাড়ি কোন বর্ণমালা খুঁজে পাবেন, তত তাড়াতাড়ি আপনি কীবোর্ডে যে কোন শব্দ টাইপ করতে পারবেন।

তাই, যতটা সম্ভব কীবোর্ডে বড় বড় শব্দ টাইপ করার অভ্যাস করুন। এতে আপনি কিবোর্ডে টাইপ করার কৌশল খুব দ্রুত শিখে যাবেন।

শর্টকাট পদ্ধতি ব্যবহার করা শিখুন 

কীবোর্ডে টাইপ করার সময় আপনি যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কীবোর্ড শর্টকাট পদ্ধতি জানেন, তাহলে যেকোন প্রেজেন্টেশন তৈরি করার সময় এটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে এবং আপনি খুব দ্রুত নিজের লেখা লিখতে সক্ষম হবেন।

মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড শর্টকাট কী

উদাহরণ স্বরূপ, কীবোর্ডে Ctrl+S টাইপ করলে সহজেই যেকোন টেক্সট সেভ হয়ে যাবে।

কোনো টেক্সট কপি করার জন্য Ctrl + C দিয়ে সহজেই কপি করা যায়।

এবং Ctrl + V লিখে সহজেই পেস্ট করা যায়।

সব গুলি টেক্সট সিলেক্ট করার জন্য Ctrl + A দিয়ে সহজেই সিলেক্ট করা যায়।

মুছে যাওয়া কোনো টেক্সট আন্ডু করার জন্য Ctrl + Z দিয়ে সহজেই ফিরিয়ে আনা যায়।

এইভাবে, অনেক ধরণের কীবোর্ড শর্টকাট রয়েছে, যেগুলি একবার আপনি ভালভাবে জানলে, আপনি যে কোনও টাইপিং কাজ খুব দ্রুত করতে পারেন।  

ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url