e-tin certificate download

e-tin certificate download

একজন মানুষের বাৎসরিক উপার্জন যদি আয়কর সীমার উপরে হয় তবে তাকে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয়। TIN এর পূর্ণরূপ হলো- Taxpayer's Identification Number ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার । টিন নাম্বার বা টিন সার্টিফিকেট একজন করদাতার পরিচয় পত্র । এই নাম্বারের মাধ্যমে বাংলাদেশের করদাতাদের সনাক্ত করা হয়ে থাকে ।
 
বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করেছেন যা একজন করদাতা হিসাবে খুব সহজে ও দ্রুত রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারে। ইতি পূর্বে যারা টিন সনদ তৈরি করেছেন তাদের টিন সনদ নাম্বার ১২ ডিজিটের কম ছিল । তাদেরকে অনলাইনে রি- রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে নতুন ডিজিটাল সনদ গ্রহণ করতে হবে । 

মাত্র কয়েকটি ধাপে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পর আপনার নামে ১২ ডিজিটের নাম্বার সহ একটি টিন সনদ তৈরি হয়ে যাবে । 

কি কি কাজে টিন সনদ প্রয়োজন?

১) আপনার বাৎসরিক ইনকাম যদি আয়কর সীমার উপরে হয় তাহলে আপনাকে ট্যাক্স প্রদান করতে হবে । তার জন্য আপনাকে অবশ্যই টিন সনদ তৈরি করে নিতে হবে 

২) ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য বা লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য 

৩) যৌথ ব্যাবসায়ীদের নিবন্ধিত সংগঠনের সদস্য হবার জন্য 

৪) পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ভেতর জমি, ফ্লাট, ভবন, ক্রয়/বিক্রয়ের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য 

৫) ব্যাংক হইতে লোন এর জন্য আবেদন করতে হলে 

৬) কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের জন্য 

৭) কোনো কোম্পানি নিবন্ধন করার জন্য 

৮) রাইড শেয়ারিং কোনো কোম্পানিতে গাড়ি দেয়ার জন্য 

৯) ব্যাংক হইতে ক্রেডিট কার্ড উত্তোলনের জন্য 

ইত্যাদি ছাড়াও বিভিন্ন কারণে টিন সনদের প্রয়োজন হয় । 

টিন সনদের জন্য কি কি প্রয়োজন ? 

১) আবেদনকারীর  ন্যাশনাল আইডি কার্ড 
২) আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার 
৩) পিতা ও মাতার নাম 
৪) স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা 

কিভাবে টিন সনদ তৈরি করবেন নিজেই 

একজন আবেদনকারীকে টিন সনদ গ্রহণের জন্য 

e-TIN - TIN Registration - Income Tax

 এই লিংক টিতে প্রবেশ করে প্রথমে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তার পর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে টিন সনদ পাবার জন্য আবেদন করতে হবে। 
নিচের দেয়া পদ্ধতি গুলি অনুসরণ করলে খুব সহজে নিজেই টিন সনদ তৈরি করতে পারবেন- 

e-tin certificate download

যে কোনো ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকে উপরে দেয়া লিংকটিতে প্রবেশ করে প্রথমে নিচের ছবির মতো Register অপশনে যেতে হবে  
e-tin certificate download

তার পর নিচের ছবির মতো Registration ফরম চলে আসবে, সেখানে একটি ইউজার নাম তৈরি করতে হবে যেমন- 420Rohim তার পর আট ডিজিটের একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে এবং ইউজার নাম ও পাসওয়ার্ড টি মনে রাখতে হবে যেটা দিয়ে লগইন করতে হবে। তারপর আপনার  Security Question অপশনে যেটা প্রথমে থাকে নিচের ছবির মতো সেখানে আপনার গ্রামের নাম দিবেন 

তার পর Country বাংলাদেশ সিলেক্ট করা থাকবে, এর নিচে Mobile অপশনে আপনার সচল ফোন নাম্বার দিতে হবে, তার পর নিচে আপনার ই-মেইল সেটা না দিলেও চলবে, Verification letters এটা ভালো করে দেখে লিখে Register এর ঘরে ক্লিক করতে হবে । 

Register সম্পন্ন হলে উপরে ছবির মতো e-TIN Activation Code এখন আপনার ফোনে একটি OTP কোড চলে যাবে আপনার ফোনের মেসেজে থেকে ছয় ডিজিটের OTP কোড নাম্বার দিয়ে বসিয়ে নিচে Active বাটনে ক্লিক করে নিতে হবে । এভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে 

লগইন এর ঘরে ক্লিক করে আপনার ইউজার নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিতে হবে নিচের ছবির মতো Login বাটনে ক্লিক করতে হবে।

লগইন হবার পর 


উপরের ছবির মতো একটি পেজ চলে আসবে, এখানে আপনার আইডি কার্ড অনুযায়ী তথ্য গুলি পূরণ করতে হবে, এখানে আছে আপনার নাম, জেন্ডার, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামীর নাম (স্বামীর নাম মেয়েদের জন্য), ই-মেইল না দিলে সমস্যা নেই, 

তারপর আপনার ঠিকানা- যদি স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই হয় তাহলে Line-1 এখানে আপনার গ্রামের নাম লিখার পর District সিলেক্ট করলে থানা- এখানে আপনার জেলার সব গুলি থানা দেখতে পারবেন আপনার থানা সিলেক্ট করে Post Code বসিয়ে দিবেন তারপর Same as Current Address এই ঘরটি টিকমার্ক করে দিবেন স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে, তারপর Go to Next

Go to Next এখানে ক্লিক করার পর উপরের ছবির মতো একটি নতুন পেজ দেখতে পারবেন। এখানে রেজিস্ট্রেশন টাইপ- New Registration  এটা ঠিক থাকবে তার পর Purpose of Tin/ উদ্দেশ্যে এই ঘরে আপনি যে কারণে টিন সনদ তৈরি করছেন  তার কারণ অথবা Others দিতে পারেন এবং আয়ের উৎস এখানেও Others দিতে পারেন । তার পর আপনার লোকেশন এর ঘরে আপনার জেলা সিলেক্ট করে উপজেলা সিলেক্ট করে Go to Next  

তার পর উপরের ছবির মতো একটি পেজ চলে আসবে  কিছু চেক করে নিয়ে নিচের বক্সে টিকমার্ক করে দিয়ে Submit Application তে ক্লিক করতে হবে  

এপ্লিকেশন সাবমিট করার পর উপরের ছবির মতো একটি পেজ চলে আসবে এখানে বামে সবার উপরে লেখা TIN Application এখানে ক্লিক করলে View Certificate লেখা এখানে ক্লিক করলে আপনার টিন সনদটি চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে । তার পর Save অথবা Download অপশন পাবেন এবং এখন থেকে প্রিন্ট করতে পারবেন। 

টিন সনদ ডাউনলোড করতে কত টাকা লাগে?

টিন সনদ তৈরি করতে বা ডাউনলোড করতে কোন প্রকার ফী প্রয়োজন হয় না। আপনি নিজেই উপরে দেয়া পদ্ধতি অনুসারে আয়কর ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন আপনার টিন সনদ এর জন্য কোন ফী লাগে নাহ।

টিন সনদ থাকলে ট্যাক্স দিতে হবে কি?

টিন সনদ থাকলেই ট্যাক্স দিতে হবে কথাটি সঠিক নয়। টিন থাকলে আপনাকে ট্যাক্স রিটার্ন দিতে হবে তবে আপনার ট্যাক্স দিতে হবে কিনা সেটা নির্ভর করছে আপনার করযোগ্য আয়ের পরিমানের ওপর।

টিন সনদ বাতিল করার নিয়ম কি?

টিন সনদ বাতিল করার জন্য প্রথমে আপনাকে পর পর ৩ বছর শুন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এরপর আপনার Taxes Circle এর উপ-কর কমিশনার বরাবর উপযুক্ত কারণসহ টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার আবেদন করতে হবে। আবেদনের সাথে পূর্বের দাখিল করা রিটার্নের রিসিট, টিন সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি জমা দিতে হবে।

বাতিল করা টিন সনদ সচল করা যাবে কি?

জি, পূর্বে বাতিল করা টিন সনদ প্রয়োজনে আবার সচল করা যাবে কিন্তু একজন ব্যক্তি নতুন করে কোন টিন সনদ করতে পারবে নাহ।

একই ব্যক্তি একাধিক টিন নাম্বার নিতে পারবেন কি?

না একজন ব্যক্তি একাধিক টিন নাম্বার নিতে পারবেন না। একটি এনআইডি কার্ডের বিপরীতে একটি টিন নাম্বার দেওয়া হয়।

ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url