ভ্রম সংশোধন দলিলের জন্য স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফের আবেদন
ভ্রম সংশোধন দলিলে স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফের বিধান কি?
স্ট্যাম্প আইন ১৮৯৯ সনের ১৬-ধারা মতে স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফ করতঃ বিক্রয়, কবলা, বন্ধক এবং সেটেলমেন্ট দলিলের বিষয়বস্তুগত পরিবর্তন সাধন করে না এমন ত্রুটি সংশোধনে স্ট্যাম্প আইনের ১নং তফসিলের ৫নং আর্টিকেল অনুসারে ৩০০/= টাকা স্ট্যাম্প শুল্ক প্রদেয় হয় ৷ এই তিন প্রকার দলিল ব্যতিত অন্য কোন দলিলের ক্ষেত্রে এমন কোন সুবিধার ব্যবস্থা নেই ৷ তবে স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফের জন্য ১০/- টাকার কোর্ট ফি সহ আবেদন করতে হবে ৷ অন্য দলিলের ক্ষেত্রেও স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফ না করে ভ্রম সংশোধন দলিল রেজিষ্ট্রি করা সম্ভব ৷ উল্লেখ্য, স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফের আবেদন করা না মূল দলিলের মতই স্ট্যাম্প শুল্ক আদায়যোগ্য ৷
ভ্রম সংশোধন দলিলের জন্য স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফের আবেদন
স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফের জন্য ১০/- টাকার কোর্ট ফি সহ আবেদন খানা সাব-রেজিস্টার বরাবর প্রেরণ করতে হবে- নিচের মতো করে আবেদন টি লিখতে হবে
বরাবর,
সাব-রেজিস্টার সাহেব
জামালপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস
জামালপুর ।
বিষয় : ভ্রম সংশোধন দলিল রেজিস্ট্রি করণের নিমিত্তে স্ট্যাম্প শুক্ল মওকুফ প্রসঙ্গে ।
মহাত্মন,
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, বিগত ইংরেজি ০৪/০৮/২০১২ তারিখে জামালপুর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ৩৩৪৫ নং একখণ্ড সাব কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করা হইয়াছে । যাহা মহোদয়ের কার্যালয়ে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হইয়াছে । তাহাতে মৌজা- পাথালিয়া এর মধ্যে আর এস- ৪৯৮৪ নং খতিয়ানটি রেজিস্ট্রি হইয়াছে । যাহা ০১নং বহির ৬৪ নং বালাম এর ২৬৩ নং হইতে ২৬৯ নং পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ হইয়াছে। প্রকৃত পক্ষে ভ্রম হওয়ায় আর এস- ৪৯৮৪ নং খতিয়ানের স্থলে আর এস- ৪৯৮০ নং খতিয়ানটি লিপিবদ্ধ হইবে। যাহা এক্ষণে সংশোধন করা একান্ত আবশ্যক । মূল দলিল রেজিস্ট্রির সময় স্ট্যাম্প শুল্ক ও রেজিস্ট্রেশন ফিস যথারীতি পরিশোধ করা হইয়াছে ।
সে মতে বিনীত প্রার্থনা যে, উক্ত ভ্রম সংশোধন দলিলের স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফ করিয়া অত্র ভ্রম সংশোধন দলিল রেজিস্ট্রি করিয়া দিতে মর্জি হয় ।
ইতি নিবেদক
(বিঃদ্রঃ ইতি নিবেদক এর জায়গায় একজন দলিল লেখকের নাম হবে)
ভ্রম সংশোধন দলিলের রেজিস্ট্রি খরচ কত?
বিভিন্ন প্রকার দলিলের রেজিস্ট্রি খরচ কত?
সাব-রেজিষ্ট্রার দ্বারা দলিলের ভুল বা ভ্রম সংশোধনের পদ্ধতি
কোন দলিল রেজিষ্ট্রি হবার পর তাতে মৌজা, দাগ, খতিয়ান বা অন্য কোন সামান্য ভুল ধরা পড়লে এবং যে ভুল সংশোধন করলে দলিলের মূল বৈশিষ্ট বা স্বত্ত্বেরও কোন পরিবর্তন হবে না, এমন ভুল সংশোধন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সাব রেজিষ্ট্রার বরাবরে আবেদন করতে হবে ৷ সাব রেজিষ্ট্রার মহোদয় এমন ছোট খাটো ভুল কিংবা ভ্রম সংশোধনের এখতিয়ার রাখেন ৷
আদালত কর্তৃক দলিলের ত্রুটি বা ভ্রম সংশোধনের পদ্ধতি
জমি রেজিষ্ট্রি করার পর অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় দলিলের কোন অংশে হয়তো ত্রুটি হয়েছে ৷ রেজিষ্ট্রির পর তাতে মৌজা, দাগ, খতিয়ান, নকশা, চৌহুদ্দি বা নামের বড় ধরনের কোন ভুল তিন বৎসরের মধ্যে ধরা পড়লে সেটি খুব সহজেই সংশোধন করা যায় ৷ এমন ভুল হয়েছে তা জানার তিন বৎসরের মধ্যেই দেওয়ানী আদালতে দলিল ভ্রম সংশোধনের মামলা দায়ের করতে হবে ৷ তিন বৎসর পর এমন মামলা তামাদির দ্বারা বাতিল হয়ে যায় ৷ তাই তখন আর সংশোধনের মামলা করা যায় না ৷
তবে ঘোষণা মূলক মামলা করা যাবে ৷ আর এমন মামলার রায়ই হলো ভ্রম সংশোধন দলিল করা ৷
উক্ত মামলার রায়ের এক কপি আদালত থেকে সাব রেজিষ্ট্রার এর নিকট প্রেরণ করবেন ৷ সাব রেজিষ্ট্রার সাহেব উপরোক্ত রায়ের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ভলিয়ম সংশোধন করে নিবেন ৷ ফলে নতুন করে আর কোন দলিল করার প্রয়োজন হবে না ৷ (সুনির্দষ্ট প্রতিকার আইন- ৩১ধারা)