বাগধারা কি?
যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ দিয়ে বিশেষ অর্থ প্রকাশ পায় তাকে বাগধারা বলে। বাগধারায় এমন একটি শক্তি আছে যা সাধারণ অর্থে বোঝা যাবে না। যেমন: 'গোবরগণেশ, বিড়ালতপস্বী, গোবরে পদ্মফুল, ঘোড়ার ডিম, কই মাছের প্রাণ।
বাগধারা তিন প্রকারে ভাব প্রকাশ করে থাকে। যেমন: ১. বাচ্যার্থ: শব্দের মুখ্য অর্থকে বাচ্যার্থ বলে। যেমন: ঈশ্বর, নদী, চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি।
২. লক্ষ্যার্থ: যখন কোন শব্দ মুখ্য অর্থ ছাড়া অন্য অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে লক্ষ্যার্থ বলে। যেমন: 'গোপালের লেখাপড়ার গা নাই'। 'গা' শব্দের মুখ্য হলো দেহ' কিন্তু এখানে বাচ্যার্থে বা মুখ্যার্থে ব্যবহৃত না হয়ে লক্ষ্যার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এই বাক্যে 'গা' শব্দের লক্ষ্যার্থ হলো 'ইচ্ছা'।
৩. ব্যাঙ্গ্যার্থ: যখন কোনো শব্দ বা শব্দসমষ্টি বাচ্যার্থ বা লক্ষ্যার্থ প্রকাশ। ণ না করে অন্য একটি নতুন গভীর ব্যঞ্জনাপূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে ব্যাঙ্গ্যার্থ বলে। যেমন: 'রমেশ বাবুর ছেলে একটা অকালকুন্নাও'। 'অকাল-কুষ্মাণ্ডের' ব্যাঙ্গ্যার্থ হলো 'অপদার্থ'।
বাগধারা তালিকা
১.অকাল কুষ্মাণ্ড = অপদার্থ, অকেজো
২. অক্কা পাওয়া = মারা যাওয়া
৩. অগস্ত্য যাত্রা = চির দিনের জন্য প্রস্থান যা প্রস্থান
৪. অগাধ জলের মাছ = সুচতুর ব্যক্তি
৫. অর্ধচন্দ্র = গলা ধাক্কা
৬. অন্ধের যষ্ঠি = একমাত্র অবলম্বন
৭. অন্ধের নড়ি= একমাত্র অবলম্বন
৮. অগ্নিশর্মা= নিরতিশয় ক্রুদ্ধ
৯. অগ্নিপরীক্ষা= কঠিন পরীক্ষা
১০. অগ্নিশর্মা= ক্ষিপ্ত
১১. অগাধ জলের মাছ= খুব চালাক
১২. অতি চালাকের গলায় দড়ি= বেশি চাতুর্যর পরিণাম
১৩. অতি লোভে তাঁতি নষ্ট = লোভে ক্ষতি
১৪. অদৃষ্টের পরিহাস = বিধির বিড়ম্বনা
১৫. অর্ধচন্দ্র দেওয়া = গলা ধাক্কা দিয়ে দেয়া
১৬. অষ্টরম্ভা = ফাঁকি
১৭. অথৈ জলে পড়া = খুব বিপদে পড়া
১৮. অন্ধকারে ঢিল মারা= আন্দাজে কাজ করা
১৯. অমৃতে অরুচি = দামি জিনিসের প্রতি বিতৃষ্ণা
২০. অকূল পাথার = ভীষণ বিপদ
২১. অনুরোধে ঢেঁকি গেলা = অনুরোধে দুরূহ কাজ সম্পন্ন করতে সম্মতি দেওয়া
২২. অদৃষ্টের পরিহাস= ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা
২৩. অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী= সামান্য বিদ্যার অহংকার
২৪. অনধিকার চর্চা = সীমার বাইরে পদক্ষেপ
২৫. অরণ্যে রোদন= নিষ্ফল আবেদন
২৬. অহিনকুল সম্বন্ধ = ভীষণ শত্রতা
২৭. অন্ধকার দেখা= দিশেহারা হয়ে পড়া
২৮. অমাবস্যার চাঁদ = দুর্লভ বস্তু
২৯. আকাশ কুসুম = অসম্ভব কল্পনা
৩০. আকাশ পাতাল = প্রভেদ
৩১. আকাশ থেকে পড়া= অপ্রত্যাশিত
৩২. আকাশের চাঁদ = আকাঙ্ক্ষিত বস্তু
৩৩. আগুন নিয়ে খেলা = ভয়ঙ্কর বিপদ
৩৪. আগুনে ঘি ঢালা= রাগ বাড়ানো
৩৫. আঙুল ফুলে কলাগাছ = অপ্রত্যাশিত ধনলাভ
৩৬. আদায় কাঁচকলায়= তিক্ত সম্পর্ক
৩৭. আহ্লাদে আটখানা= খুব খুশি
৩৮. আক্কেল সেলামি= নির্বুদ্ধিতার দণ্ড
৩৯. আঙুল ফুলে কলাগাছ= হঠাৎ বড়লোক
৪০. আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া= দুর্লভ বস্তু প্রাপ্তি
৪১. আদায় কাঁচকলায়= শত্রতা
৪২ আদা জল খেয়ে লাগা= প্রাণপণ চেষ্টা করা
৪৩. আঠার আনা= সমূহ সম্ভাবনা
৪৪. আক্কেল গুড়ুম= হতবুদ্ধি, স্তম্ভিত
৪৫. আমড়া কাঠের ঢেঁকি= অপদার্থ
৪৬. আকাশ ভেঙে পড়া= ভীষণ বিপদে পড়া
৪৭. আমতা আমতা করা= ইতস্তত করা, দ্বিধা করা
৪৮. আঠার মাসের বছর= দীর্ঘসূত্রিতা
৪৯. আলালের ঘরের দুলাল= অতি আদরে নষ্ট পুত্র
৫০. আকাশে তোলা= অতিরিক্ত প্রশংসা করা
৫১. আটকপালে= হতভাগ্য
৫২. আষাঢ়ে গল্প= আজগুবি কেচ্ছা
৫৩. ইতর বিশেষ= পার্থক্য
৫৪. ইঁদুর কপালে= নিতান্ত মন্দভাগ্য
৫৫. ইচড়ে পাকা= অকালপক
৫৬. ইলশে গুঁড়ি= গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
৫৭. উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে= একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো
৫৮. উত্তম মধ্যম = প্রহার
৫৯. উড়নচন্ডী = অমিতব্যয়ী
৬০. উভয় সংকট= দুই দিকেই বিপদ
৬১. উলু বনে মুক্ত ছড়ানো= অপাত্রে/অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান
৬২. উড়ো চিঠি= বেনামি পত্র
৬৩. উড়ে এসে জুড়ে বসা= অনধিকারীর অধিকার
৬৪. উজানে কৈ= সহজলভ্য
৬৫. ঊনপাঁজুড়ে= অপদার্থ
৬৬. ঊনপঞ্চাশ বায়ু= পাগলামি
৬৭. এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো= একই স্বভাবের
৬৮. এক চোখা= পক্ষপাতিত্ব, পক্ষপাতদুষ্ট
৬৯. এক মাঘে শীত যায় না= বিপদ এক বারই আসে না, বার বার আসে
৭০. এলোপাতাড়ি= বিশৃঙ্খলা
৭১. এসপার ওসপার= মীমাংসা
৭২. একাদশে বৃহস্পতি= সৌভাগ্যের বিষয়
৭৩. এক বনে দুই বাঘ= প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী
৭৪. এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো= একই দলভুক্ত
৭৫. এক করতে আর এলাহি কাণ্ড= বিরাট আয়োজন
৭৬. ওজন বুঝে চলা= অবস্থা বুঝে চলা
৭৭. ওষুধে ধরা= প্রার্থিত ফল পাওয়া
৭৮. কচুকাটা করা= নির্মমভাবে ধ্বংস করা
৭৯. কচু পোড়া= অখাদ্য
৮০. কচ্ছপের কামড়= যা সহজে ছাড়ে না
৮১. কলম পেষা= কেরানিগিরি
৮২. কলুর বলদ= এক টানা খাটুনি
৮৩. কথার কথা== গুরুত্বহীন কথা
৮৪. কাঁঠালের আমসত্ত্ব= অসম্ভব বস্তু
৮৫. কাকতাল= আকস্মিক/দৈব যোগাযোগজাত ঘটনা
৮৬. কপাল ফেরা= সৌভাগ্য লাভ
৮৭. কত ধানে কত চাল= হিসেব করে চলা
৮৮. কড়ায় গণ্ডায়= পুরোপুরি
৮৯. কান খাড়া করা= মনোযোগী হওয়া
৯০. কান ভারি করা= কুপরামর্শ দান
৯১. কানকাটা= নির্লজ্জ
৯২. কান ভাঙানো= কুপরামর্শ দান
৯৩. কাপুড়ে বাবু= বাহ্যিক সাজ
৯৪. কেউ কেটা= গণ্যমান্য
৯৫. কেঁচে গণ্ডুষ= পুনরায় আরম্ভ
৯৬. কেঁচো খুড়তে সাপ= বিপদজনক পরিস্থিতি
৯৭. কই মাছের প্রাণ= যা সহজে মরে না
৯৮. কুড়ের বাদশা= খুব অলস
৯৯. কাক ভূষণ্ডী= দীর্ঘজীবী
১০০. কেতা দুরন্ত= পরিপাটি
১০১. কাছা আলগা= অসাবধান
১০২, কাঁচা পয়সা= নগদ উপার্জন
১০৩, কাঁঠালের আমসত্ত্ব= অসম্ভব বস্তু
১০৪, রূপমণ্ডুক= সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন, ঘরকুনো
১০৫, কেতা দুরন্ত= পরিপাটি
১০৬, কাঠের পুতুল= নির্জীব, অসার
১০৭, কথায় চিড়ে ভেজা= ফাঁকা বুলিতে কার্যসাধন
১০৮, কান পাতলা= সহজেই বিশ্বাসপ্রবণ
১০৯, কাছা ঢিলা= অসাবধান
১১০, খণ্ড প্রলয়= ভীষণ ব্যাপার
১১১, খাল কেটে কুমির আনা= বিপদ ডেকে আনা
১১২, গড্ডলিকা প্রবাহ= অন্ধ অনুকরণ
১১৩, গদাই লস্করি চাল= অতি ধীর গতি, আলসেমি
১১৪, গণেশ উল্টানো= উঠে যাওয়া, ফেল মারা
১১৫, গলগ্রহ= পরের বোঝা স্বরূপ থাকা
১১৬, গরজ বড় বালাই= প্রয়োজনে গুরুত্ব
১১৭, গরমা গরম= টাটকা
১১৮, গরিবের ঘোড়া= রোগ অবস্থার অতিরিক্ত অন্যায় ইচ্ছা
১১৮, গুর খোঁজা= তন্ন তন্ন করে খোঁজা
১২০, গুরু মেরে জুতা দান= বড় ক্ষতি করে সামান্য ক্ষতিপূরণ
১২১, গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল= প্রাপ্তির আগেই আয়োজন
১২২, গা ঢাকা দেওয়া= আত্মগোপন
১২৩, গায়ে কাঁটা দেওয়া= রোমাঞ্চিত হওয়া
১২৪, গাছে তুলে মই কাড়া= সাহায্য না করা সাহায্যের আশা দিয়ে
১২৪, গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো= কোনো দায়িত্ব গ্রহণ না করা
১২৫, গুরু মারা বিদ্যা= যার কাছে শিক্ষা তারই উপর প্রয়োগ
১২৬, গোকুলের ষাঁড়= স্বেচ্ছাচারী লোক
১২৭, গোঁয়ার গোবিন্দ= নির্বোধ অথচ হঠকারী
১২৮, গোল্লায় যাওয়া= নষ্ট হওয়া, অধঃপাতে যাওয়া
১২৯, কুল কাঠের আগুন= তীব্র জ্বালা
১৩০, গোবর গণেশ= মূর্খ
১৩১, কেচো খুঁড়তে সাপ= পরিস্থিতি সামান্য থেকে অসামান্য
১৩২, গোলক ধাঁধা= দিশেহারা
১৩৩, গোঁফ খেজুরে= নিতান্ত অলস
১৩৪, কেউ কেটা= সামান্য
১৩৫, কেঁচে গণ্ডুষ= পুনরায় আরম্ভ
১৩৬, কৈ মাছের প্রাণ= যা সহজে মরে না
১৩৭, গৌরচন্দ্রিকা= ভূমিকা
১৩৮, গৌরীসেনের টাকা= বেহিসাবী অর্থ
১৩৯, গোড়ায় গলদ= শুরুতে ভুল
১৪০, খয়ের খাঁ= চাটুকার
১৪১, গুড়ে বালি= আশায় নৈরাশ্য
১৪২, ঘর ভাঙানো= সংসার বিনষ্ট করা
১৪৩, ছাপোষা= অত্যন্ত গরিব
১৪৪, ঘাটের মরা= অতি বৃদ্ধ
১৪৫, ছ কড়া ন কড়া= সত্তা দর
১৪৬, ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা= সামান্য কাজের জন্য অপদার্থ ব্যক্তি
১৪৭, ঘোড়া রোগ= সাধ্যের অতিরিক্ত সাধ
১৪৮, ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া= মধ্যবর্তীকে অতিক্রম করে কাজ করা
১৪৯, ছেলের হাতের মোয়া= সামান্য বস্তু
১৫০, ঘোড়ার ঘাস কাটা = অকাজে সময় নষ্ট করা
১৫১. ঘোড়ার ডিম= অবাস্তব
১৫২. ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো = নিজ খরচে পরের বেগার খাটা
১৫৩. ঘাটের মড়া = অতি বৃদ্ধ
১৫৪. ঘটিয়াম আনাড়ি= হাকিম
১৫৫. চক্ষুদান করা= চুরি করা
১৫৬. চক্ষুলজ্জা= সংকোচ
১৫৭. চর্বিত চর্বণ= পুনরাবৃত্তি
১৫৮. চাঁদের হাট= আনন্দের প্রাচুর্য
১৫৯. চিনির বলদ= অংশীদার নয় ভারবাহী কিন্তু ফল লাভের
১৬০. চোখের বালি= চক্ষুশূল
১৬১. চোখের পর্দা= লজ্জা
১৬২. চোখ কপালে তোলা = বিস্মিত হওয়া
১৬৩. চোখ টাটানো = ঈর্ষা করা
১৬৪. চোখে ধূলো দেওয়া= প্রতারণা করা
১৬৫. চোখের চামড়া= লজ্জা
১৬৬. চুনকালি দেওয়া= কলঙ্ক
১৬৭. চশমখোর= চক্ষুলজ্জাহীন
১৬৮. চোখের মণি= প্রিয়
১৬৯. চামচিকের লাথি= নগণ্য ব্যক্তির কটূক্তি
১৭০. ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করা= অর্জন নগণ্য স্বার্থে দুর্নাম
১৭১. ছক্কা পাঞ্জা= বড় বড় কথা বলা
১৭২. ছিচ কাদুনে= অল্পই কাঁদে এমন
১৭৩. ছিনিমিনি খেলা= নষ্ট করা
১৭৪. ছেলের হাতের মোয়া= সহজলভ্য বস্তু
১৭৫. জগাখিচুড়ি পাকানো= গোলমাল বাধানো
১৭৬. জিলাপির প্যাঁচ= কুটিলতা
১৭৭. জীবিতপ্রায়= জলে কুমির ভাঙায় বাঘ উভয় সঙ্কট
১৭৮. ঝড়ো কাক= বিপর্যস্ত
১৭৯. ঝাঁকের কৈ= এক দলভুক্ত
১৮০. ঝিকে মেরে বউকে বোঝানো= একজনের মাধ্যমে দিয়ে অন্যজনকে শিক্ষাদান
১৮১. ঝোপ বুঝে কোপ মারা= সুযোগ মত কাজ করা
১৮২. টেকে গোঁজা= আত্মসাৎ করা
১৮৩. টুপভুজঙ্গ= নেশায় বিভোর
১৮৪. ঠাট বজায় রাখা= অভাব চাপা রাখা
১৮৫. ঠোঁট কাটা= বেহায়া
১৮৬. ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়= আদর্শহীনতার প্রাচুর্য
১৮৭. ঠুটো জগন্নাথ= অকর্মণ্য
১৮৮. ঠেলার নাম বাবাজি= চাপে পড়ে কাবু
১৮৯. ডুমুরের ফুল= দুর্লভ বস্তু
১৯০. ডাকের সুন্দরী= খুবই সুন্দরী
১৯১. ডুমুরের ফুল= দুর্লভ
১৯২. চিনির পুতুল= শ্রমকাতর
১৯৩. চুনোপুটি= নগণ্য
১৯৪. চুলোয় যাওয়া= ধ্বংস
১৯৫. চিনে/ছিনে জোঁক= নাছোড়বান্দা
১৯৬. ডান হাতের ব্যাপার= খাওয়া
১৯৭. ডামাডোল= গণ্ডগোল
১৯৮. ঢাক ঢাক গুড় গুড়= গোপন রাখার চেষ্টা
১৯৯. ঢি ঢি পড়া= কলঙ্ক প্রচার হওয়া
২০০. ঢাকের কাঠি= মোসাহেব, চাটুকার
২০১. ঢাকের বাঁয়া= অপ্রয়োজনীয়
২০২. ঢেঁকির কচকচি= বিরক্তিকর কথা
২০৩. ধরি মাছ না ছুঁই পানি= কৌশলে কার্যাস্কার
২০৪. ননীর পুতুল= শ্রমবিমুখ
২০৫. নয় ছয়= অপচয়
২০৬. নাটের গুরু= মূল নায়ক
২০৭. ঢিমে তেতালা= মন্থর
২০৮. নাড়ি নক্ষত্র= সব তথ্য
২০৯. তালকানা= বেতাল হওয়া
২১০. নিমক হারাম= অকৃতজ্ঞ
২১১. তাসের ঘর= ক্ষণস্থায়ী
২১২. নিমরাজি= প্রায় রাজি
২১৩. তামার বিষ= অর্থের কু প্রভাব
২১৪. তালপাতার সেপাই= ক্ষীণজীবী
২১৫. তিলকে তাল করা= বাড়িয়ে বলা
২১৬. তুলসী বনের বাঘ= ভণ্ড
২১৭. তুলা ধুনা করা= দুর্দশাগ্রস্ত করা
২১৮. নামকাটা সেপাই= কর্মচ্যুত ব্যক্তি
২১৯. নথ নাড়া= গর্ব করা
২২০. নেই আঁকড়া= একগুঁয়ে
২২১. নগদ নারায়ণ= কাঁচা টাকা/নগদ অর্থ
২২২. নেপোয় মারে দই= ধূর্ত লোকের ফল প্রাপ্তি
২২৩. তুষের আগুন= দীর্ঘস্থায়ী ও দুঃসহ যন্ত্রণা
২২৪. পটল তোলা= মারা যাওয়া
২২৫. তীর্থের কাক= প্রতীক্ষারত
২২৬. পগার পার= আয়ত্তের বাইরে পালিয়ে যাওয়া
২২৭. থ বনে যাওয়া= স্তম্ভিত হওয়া
২২৮. থরহরি কম্প= ভীতির আতিশয্যে কাঁপা
২২৯. পটের বিবি= সুসজ্জিত
২৩০. দা-কুমড়া= ভীষণ শত্রতা
২৩১. দহরম মহরম= ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
২৩২. দু মুখো সাপ= দু জনকে দু রকম কথা বলে পরস্পরের মধ্যে শত্রতা সৃষ্টিকারী
২৩৩. দিনকে রাত করা= সত্যকে মিথ্যা করা
২৩৪. পত্রপাঠ = অবিলম্বে/সঙ্গে সঙ্গে
২৩৫. পাকা ধানে মই= অনিষ্ট করা
২৩৬. পাখিপড়া করা= বার বার শেখানো
২৩৭. পাততাড়ি গুটানো= জিনিসপত্র গোটানো
২৩৮. পাথরে পাঁচ কিল = সৌভাগ্য
২৩৯. পালের গোদা = দলপতি
২৪০. দুধে ভাতে থাকা = খেয়ে-পড়ে সুখে থাকা
২৪১. পুঁটি মাছের প্রাণ = যা সহজে মরে যায়
২৪২. দেতো হাসি = কৃত্তিম হাসি
২৪৩. দাদ নেওয়া = প্রতিশোধ নেয়া
২৪৪. দুকান কাটা = বেহায়া
২৪৫. পুকুর চুরি = বড় রকমের চুরি
২৪৬. পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটা = পুরোনো প্রসঙ্গে কটাক্ষ করা
২৪৬. দুধের মাছি = সু সময়ের বন্ধু
২৪৭. ধরাকে সরা জ্ঞান করা = সকলকে তুচ্ছ ভাবা
২৪৮. বড়া-চূড়া= সাজপোশাক
২৪৯. ধরাকে সরা জ্ঞান করা= অহঙ্কারে সবকিছু তুচ্ছ মনে করা
২৫০. ধর্মের যাঁড়= যথেচ্ছাচারী
২৫১. ধর্মের কল বাতাসে নড়ে= সত্য গোপন থাকে না
২৫২. পৌ ধরা= অন্যকে দেখে একই কাজ করা
২৫৩. পোয়া বারো= অতিরিক্ত সৌভাগ্য
২৫৪. প্রমাদ গোণা= ভীত হওয়া
২৫৫. পায়াভারি = অহঙ্কার
২৫৬. পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা= অপরকে দিয়ে কাজ উদ্ধার
২৫৭. পরের ধনে পোদ্দারি= অন্যের অর্থের যথেচ্ছ ব্যয়
২৫৮. ফপর দালালি= অতিরিক্ত চালবাজি
২৫৯. ফুলবাবু= বিলাসী
২৬০. ফেউ লাগা= আঠার মতো লেগে থাকা
২৬১. ভাঁড়ে ভবানী= নিঃস্ব অবস্থা
২৬২. ভূতের ব্যাগার= অযথা শ্রম
২৬৩. ভূই ফোড়= হঠাৎ গজিয়ে ওঠা
২৬৪. ফুলের ঘাঁয়ে মূর্ছা যাওয়া= অল্পে কাতর
২৬৫. ভিজে বিড়াল= কপটাচারী
২৬৬. ফোড়ন দেওয়া= টিপ্পনী কাটা
২৬৭. ভূশন্ডির কাক= দীর্ঘজীবী
২৬৮. বক ধার্মিক= ভণ্ড সাধু
২৬৯. মগের মুল্লুক= অরাজক দেশ
২৭০. বইয়ের পোকা= খুব পড়ুয়া
২৭১. মণিকাঞ্চন= যোগ উপযুক্ত মিলন
২৭২. বগল বাজানো= আনন্দ প্রকাশ করা
২৭৩. মন না মতি= অস্থির মানব মন
২৭৪. বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো= সহজে খুলে যায় এমন
২৭৫. মড়াকান্না= উচ্চকণ্ঠে শোক প্রকাশ
২৭৬. বসন্তের কোকিল= সুদিনের বন্ধু
২৭৭. বিড়াল তপস্বী= ভণ্ড সাধু
২৭৮. মাছের মায়ের পুত্রশোক= কপট বেদনাবোধ
২৭৯. মিছরির ছুরি= মুখে মধু অন্তরে বিষ
২৮০. বর্ণচোরা= আম কপট ব্যক্তি
২৮১. মুখ চুন হওয়া= লজ্জায় স্নান হওয়া
২৮২. বরাক্ষরে= অলক্ষুণে
২৮৩. মুখে দুধের গন্ধ= অতি কম বয়স
২৮৪. বাজারে কাটা= বিক্রি হওয়া
২৮৫. মুস্কিল আসান= নিষ্কৃতি
২৮৬. বালির বাঁধ= অস্থায়ী বস্তু
২৮৭. মেনি মুখো== লাজুক
২৮৮. বাঁ হাতের ব্যাপার= ঘুষ গ্রহণ
২৮৯. বাঁধা গৎ= নির্দিষ্ট আচরণ
২৯০. মাকাল ফল= অন্তঃসারশূণ্য
২৯১. মশা মারতে কামান দাগা= সামান্য কাজে বিরাট আয়োজন
২৯২. মুখে ফুল চন্দন পড়া= শুভ সংবাদের জন্য ধন্যবাদ
২৯৩. বিসমিল্লায় গলদ= শুরুতেই ভুল
২৯৪. বাজখাঁই গলা= অত্যন্ত কর্কশ ও উঁচু গলা
২৯৫. বাড়া ভাতে ছাই= অনিষ্ট করা
২৯৬. বায়াত্তরে ধরা= বার্ধক্যের কারণে কাণ্ডজ্ঞানহীন
২৯৭. বিদ্যার জাহাজ= অতিশয় পণ্ডিত
২৯৮. বিশ বাঁও জলে= সাফল্যের অতীত
২৯৯. বিনা মেঘে বজ্রপাত= আকস্মিক বিপদ
৩০০. বাঘের দুধ/ চোখ= দুঃসাধ্য বস্তু
৩০১. রত্নপ্রসবিনী= সুযোগ্য সন্তানের মা
৩০২. মেছো হাটা= তুচ্ছ বিষয়ে মুখরিত
৩০৩. যক্ষের ধন= কৃপণের ধন
৩০৪. যমের অরুচি= যে সহজে মরে না
৩০৫. রাঘব বোয়াল= সর্বগ্রাসী ক্ষমতাবান ব্যক্তি
৩০৬. রাবণের চিতা= চির অশান্তি
৩০৭. বুদ্ধির ঢেঁকি= নিরেট মূর্খ
৩০৮. ব্যাঙের আধুলি= সামান্য সম্পদ
৩০৯. রাশভারি= গম্ভীর প্রকৃতির
৩১০. ব্যাঙের সর্দি= অসম্ভব ঘটনাভরাডুবি সর্বনাশ
৩১১. রাই কুড়িয়ে বেল= ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বৃহৎ
৩১২. ভস্মে ঘি ঢালা= নিষ্ফল কাজ
৩১৩. ভাদ্র মাসের তিল= প্রচণ্ড কিল
৩১৪. রাজা উজির মারা= আড়ম্বরপূর্ণ গালগল্প
৩১৫. রাবণের গুষ্টি বড় পরিবার
৩১৬. রায় বাঘিনী= উগ্র স্বভাবের নারী
৩১৭. ভানুমতীর খেল= অবিশ্বাস্য ব্যাপার
৩১৮. ভাল্লুকের জ্বর= ক্ষণস্থায়ী জুর
৩১৯. রাজ যোটক= উপযুক্ত মিলন
আশা করি পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন ---