বণ্টন দলিল কি?
বণ্টন দলিল কি?
১৮৯৬ সালের স্ট্যাম্প এ্যাক্টের ২ (১৫) ধারায় বলা হয়েছে বণ্টন দলিল ও বণ্টক দলিল অর্থ একই। যখন কোনো সম্পত্তির সহ-শরিকগণ তাদের সম্পত্তি ব্যক্তিগত মালিকানায় পৃথকভাবে করে নেয় বা নিতে সম্মত হয়ে কোনো দলিল করে তাকেই বণ্টন দলিল বলে।
বণ্টন সম্পন্ন হওয়ার শর্ত:
* সীমানা চিহ্নিতকরণ বা পরিমাপ দ্বারা সম্পত্তির প্রকৃত বিভাজন হতে হবে;
* বণ্টন তালিকায় প্রত্যেক সহ-মালিকের বরাদ্দকৃত সম্পত্তি উল্লেখ থাকতে হবে;
* তালিকায় মালিকানার বিভাজন সকল সহ-মালিক কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে;
* বণ্টনের বিবরণ সুস্পষ্ট হতে হবে; প্রত্যেকটি তালিকা সহ-মালিকবৃন্দ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে;
* যথাযথভাবে স্ট্যাম্প শুল্ক দিয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করতে হবে;
* সহ-শরীকগণ আপোষ বণ্টন করে পরবর্তীতে তাদের কেউ তা না মানলে দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে তা কার্যকর করা যায়।
বণ্টননামা রেজিস্ট্রির ফি: সকল সহ-শরিকের মধ্যে জমি হিস্যানুযায়ী (স্ট্যাম্প এর উপর) বণ্টন করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করে বণ্টননামা দলিল রেজিস্ট্রি করা যায়। এ দলিল রেজিস্ট্রির জন্য স্ট্যাম্প খরচ লাগবে।
স্ট্যাম্প এর গায়ে জমির যে মূল্য লেখা হবে তার ২% হারে। এছাড়া অন্যান্য ফিস কবলা দলিল রেজিস্ট্রিতে যেমন লাগে অনুরূপ লাগবে।
কিভাবে বাটোয়ারা মামলা করবেন ?
দেওয়ানী আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেও নিজেদের সহায়-সম্পত্তি বণ্টন করে নেয়া যায়। এ জন্য যা প্রয়োজন হবে তা হলো:
আবেদনের গায়ে ১০০/- টাকার কোর্ট ফি।
ছাহাম চাইলে প্রতি ছাহামের জন্য ১০০/- টাকা ফি।
মালিকানার সূত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে বংশানুক্রম।
বাটোয়ারা মামলায় সাধারণত প্রত্যেক দাগের জমি সকল সহ-শরীক এর মধ্যে বণ্টিত হয়ে থাকে। এ মামলায় ২ বার ২টি ডিক্রী হয়।
প্রথম ডিক্রী: এ ডিক্রীতে হিস্যানুযায়ী বণ্টন আদেশ দেয়া হয়।
চূড়ান্ত ডিক্রী: এ ডিক্রীতে প্রয়োজনে আমিন কমিশন পাঠিয়ে সরজমিনে সম্পত্তির দখল দেয়া হয় এবং সীমানা পীলার দ্বারা বিভাজন (জমির ভাগ) চিহ্নিত করার মাধ্যমে চূড়ান্ত ডিক্রী প্রচার করা হয়। আদালত প্রয়োজনে আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়োগ করে সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে ডিক্রী প্রাপককে সম্পত্তির দখল দেয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন।