ঘরোয়া নাদাবী দলিল লেখার নিয়ম

ঘরোয়া নাদাবী দলিল লেখার নিয়ম

অনেকের উত্তরাধীকার সূত্রে পাওয়া জমি নিজে ভোগদখল না করায় নিজেদের অন্য ওয়ারিশ ভোগদখল করতে থাকেন ৷ হয়তো মালিকানা থাকা শর্তেও দূরে বা অন্যত্র অবস্থান করায় কিংবা জমির খোজ খবর না নিতে পারায় জমি গুলো অন্য ওয়ারিশগণের ভোগদখলে রয়ে ৷ এমন জমি গুলো ফেরৎ না নিয়ে অনেকই টাকার বিনিময়ে বা মুক্ত হস্তে মৌখিকভাবে মালিকানা স্বত্ব পরিত্যাগ করতে চান 

আইনগত কোন ডকুমেন্ট ছাড়া বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতে কোন কিছুরই গ্রহণযোগ্যতা থাকে না ৷ 

এমন অনেক জমি আছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদির অভাবে রেজিষ্ট্রী করিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় না ৷ 

আর মৌখিকভাবে কোন জমির স্বত্ব ও স্বার্থ পরিত্যাগ করা ভবিষ্যতের জন্য কলহের সৃষ্টির কারন ৷ 

তার জন্য লিখিত ডকুমেন্ট থাকা অবশ্যই প্রয়োজন ৷ এমন জমির মালিকানার স্বত্ব পরিত্যাগ করার জন্য বিভিন্ন চুক্তি বা না-দাবী ও অঙ্গিকার নামা লেখা হয়ে থাকে ৷ 

তাই অদূর ভবিষ্যতে যাতে কোন ঝামেলা না হয় তার জন্য একটি নাদাবী দলিল প্রস্তুত করা প্রয়োজন ৷ 

ঘরোয়া নাদাবী দলিল লেখার জন্য ১০০/- টাকা মূল্যের তিনটি স্ট্যাম্প মোট ৩০০/- টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন ।


নাদাবী দলিল লেখার নিয়ম 

নাদাবী দলিল গ্রহীতা: মো: রফিকুল ইসলাম, পিতার নাম: জব্বার আলী, মাতার নাম : রোকেয়া বেগম, জন্ম তারিখ: ০৩/০৬/১৯৮৯ ইং, জাতীয় পরিচয়পত্র- ৭৬৮৭৬৫৪২৪৭, ধর্ম: ইসলাম, পেশা: ব্যবসা, জাতীয়তা: বাংলদেশী, বর্তমান ঠিকানা: গ্রাম: গোয়ালের চর, পোস্ট: গোয়ালের চর, উপজেলা: ইসলামপুর, জেলা: জামালপুর । 


মৌজাঃ গামারিয়া 

জমির পরিমাণ : ১০.৫০ (সাড়ে দশ) শতাংশ 

অনুমান মূল্য : ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা 

উপজেলা : ইসলামপুর 

জেলা : জামালপুর ।


নাদাবী দলিল দাতা :  মো: নজরুল ইসলাম, পিতার নাম: মৃত নুরুল ইসলাম, মাতার নাম : মোসাঃ সুফিয়া বেগম, জন্ম তারিখ: ১২/০৪/১৯৮৭ ইং, জাতীয় পরিচয়পত্র- ৯৪৮৪৬৫৮৫৯, ধর্ম: ইসলাম, পেশা: কৃষিকাজ, জাতীয়তা: বাংলদেশী, বর্তমান ঠিকানা: গ্রাম: গামারিয়া, পোস্ট: ইসলামপুর, উপজেলা: ইসলামপুর, জেলা: জামালপুর । 


পরম করুণাময় মহান সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করিয়া অত্র ঘরোয়া নাদাবীপত্র দলিল লেখা আরম্ভ করিলাম। জেলা জামালপুর, উপজেলা ইসলামপুর, মৌজা- গামারিয়া এর মধ্যে সি এস- ৭৮৭ নং খতিয়ানে সি এস- ১৮৩ নং দাগে ৬৬ শতাংশ জমি নুরুল ইসলাম এর নামে রেকর্ড লিপিবদ্ধ থাকায় । তিনি ভোগবান মালিক দখলকার থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে আমি অত্র দলিল দাতা তাহার পরবর্তী ওয়ারিশ পুত্র হিসাবে আমার প্রাপ্ত্যাংশের ১০.৫০ শতাংশ জমিতে আপনি গ্রহীতা ইতি পূর্ব হতেই ভোগদখল করিয়া আসিতেছেন । তাহাই অত্র দলিলে নাদাবীকৃত ভূমি বটে । 

উক্ত জমিতে আমি কোনো দিন ভোগদখল করি নাই বা ভবিষ্যতে ভোগদখল করার ইচ্ছা নাই মর্মে নিম্নে উল্লেখিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় অত্র নাদাবীপত্র দলিল দ্বারা আমি ও আমার স্থলবর্তী, পরবর্তী ওয়ারিশানক্রমে স্বত্বহীন হইলাম । 

ভবিষ্যতে উক্ত নাদাবীকৃত জমির প্রতি আমি বা আমার পরবর্তী কোনো ওয়ারিশ কেহ কোনো প্রকার দাবি দাওয়া করিতে পারিবে না । যদি ভবিষ্যতে কেহ কোনো প্রকার দাবি দাওয়া করি কি করে তাহা আইনে অগ্রাহ্য হইবে। নাদাবীকৃত ভূমি আপনি যদৃচ্ছায় ভোগদখল করতে থাকেন এবং আপনার নিজ নামে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস হইতে নামজারী করিয়া লইতে পারিবেন । 

তাহাতে আমি বা আমার কোনো ওয়ারিশ কাহারো কোনো ওজর আপত্তি গ্রহণ যোগ্য হইবে না । এতদর্থে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র ঘরোয়া নাদাবী পত্র দলিল সম্পাদন করিয়া দিলাম ।

ইতি সন------ তারিখ 


অত্র নাদাবী পত্র দলিল ০৩ (তিন) ফর্দ স্ট্যাম্প দ্বারা লিখিত, দলিলে ০৩ (তিন) জন সাক্ষী রহিল দলিল পাঠ করিয়া ও শুনাইয়া উহার মর্ম অবগত হইলাম । 


মুসাবিদাকারী--


সাক্ষীগণের নাম : 



ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url